গ্যাস্ট্রাইটিস হলো পাকস্থলীর আস্তরণে প্রদাহ, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি সাধারণত তীব্র (হঠাৎ শুরু) বা দীর্ঘস্থায়ী (দীর্ঘমেয়াদী) হতে পারে। গ্যাস্ট্রাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- পেটের উপরের অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি
- বদহজম
- বমি বমি ভাব বা বমি
- ক্ষুধামন্দা
- পেট ফাঁপা বা গ্যাস
গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- Helicobacter pylori ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
- নিয়মিত নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs) সেবন
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
- ধূমপান
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা শারীরিক আঘাত
গ্যাস্ট্রাইটিস নির্ণয়ের জন্য ডাক্তাররা সাধারণত রোগীর উপসর্গ, চিকিৎসা ইতিহাস এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেন। পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- এন্ডোস্কোপি: পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ অবস্থা পর্যবেক্ষণ।
- ল্যাবরেটরি পরীক্ষা: রক্ত, মল বা শ্বাস পরীক্ষা করে H. pylori সংক্রমণ শনাক্তকরণ।
- ইমেজিং পরীক্ষা: এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে পাকস্থলীর অবস্থা মূল্যায়ন।
গ্যাস্ট্রাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত কারণের উপর নির্ভর করে। চিকিৎসার মধ্যে থাকতে পারে:
- অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ: প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর বা হিস্টামিন ২ ব্লকার।
- অ্যান্টিবায়োটিক: H. pylori সংক্রমণ থাকলে।
- জীবনযাত্রার পরিবর্তন: অ্যালকোহল, ধূমপান, এবং NSAIDs সেবন এড়িয়ে চলা।
গ্যাস্ট্রাইটিসের জটিলতাগুলোর মধ্যে পাকস্থলীর আলসার, রক্তপাত, এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।